Mohan Ekusse February 52

Mohan Ekusse February 52
Jaatio Shaheed Minar,Dhaka

Tuesday, April 12, 2016

তাসলিমা নাসরিন কে কি ক্ষমা করা যায় না ?

একটা মানুষ তার এক জীবনে সব কিছু পায় না, কিছু একটার অভাব থেকে যায়, যে অভাব তাকে কুড়ে কুড়ে খায় ভিতরে ভিতরে, যার জন্য সে হতাশায় ভুগে, লোকসমাজে মুখ দেখাতে লজ্জা পায়, নিজেকে আড়াল করে রাখে, ওই সমাজ থেকে বেড়িয়ে আসতে চায়। তাসলিমা নাসরিন সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হওয়ার কারণে তার প্রথম স্বামীর পরিবার থেকে অনেক মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। যার কারণে এক সময় তিনি এই অবস্হা থেকে বেড়িয়ে আসতে বাধ্য হন এবং তার জীবনের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি নারীদের প্রতি মুসলিম মৌলবাদীদের শোষণ সংক্রান্ত কিছু কবিতা এবং কলাম লেখেন, যা তাঁর দ্বিতীয় স্বামী বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের 'খবরের কাগজ' নামক সাপ্তাহিকীতে প্রকাশ হলে, ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের হুজুরগণ এই পত্রিকার অফিস ভাঙচুর করে। এই দ্বিতীয় স্বামী যখন তাকে একটি সন্তান প্রদান করতে পারে নাই, তখন তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন এবং তখনই তিনি বুঝতে পারলেন যে পৃথিবীর সব পুরুষকে বিয়ে করলেও তিনি সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। তাই তার রাগ হলো সৃষ্টিকর্তার উপর, কেন তাকে সন্তান দেয়া হলো না, অন্যদেরকে সন্তান দেয়া হলো। এই কারণে তিনি সৃষ্টিকর্তার উপর ক্ষেপে যান, এবং যেহেতু তিনি মুসলমান পিতামাতার সন্তান, তাই স্বভাবতই তার নিজ ধর্মের সৃষ্টিকর্তার উপর ক্ষেপাই স্বাভাবিক, এবং এই কারণে তিনি শুধুই ক্ষেপেছিলেন নিজ সৃষ্টিকর্তার উপর, অন্য কোন ধর্মের সৃষ্টিকর্তার উপর নয়।

১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিন তিনটা বিয়া করার পরও যখন সৃষ্টিকর্তা তাকে কোন সন্তান দেয় নাই, তখন তিনি সৃষ্টিকর্তার উপর একটু বেশিই ক্ষেপে যান, অতপর ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে তাঁর ‘লজ্জা‘ নামক উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়, যার কারণে তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন।

তাসলিমা আপুর হতাশার কারণ হলো তিনি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম এবং এই কারণে তিনি তার আশপাশের চেনা পরিবেশ এর উপর বিল্লা। তিনি যদি তার প্রথম বিবাহিত জীবনে একটি সন্তান লাভ করতেন তাহলে আজকে এই মানসিক রোগীকে কেউ চিনতো না।

তাসলিমা নাসরিন সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হওয়ায় মারাত্মক হতাশায় ভুগেন এবং এক সময় বিকারগ্রস্হ মানসিক রোগীতে পরিণত হন। কথায় আছে, "পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়"। তখনকার যুগে ফেসবুক ছিল না, তাসলিমা আপু ছিল এই জাতের একমাত্র পাগল, তাই হুজুররা ক্ষেপেছিল। এখন ফেসবুকের কল্যাণে তাসলিমা আপুর মতো পাগল-ছাগলের অভাব নাই, উনি নিজেও ফেসবুকে পাগলামী করছেন। তাই বলে কি আমাদের সবার বিরুদ্ধে ক্ষেপতে হবে ? এরা প্রচারপ্রিয় এবং এই প্রচারের দ্বারা আসলে তারা কোন বিশেষ সুবিধা চায়, যা হলো পশ্চীমা কোন দেশের মাগনা ভিসা এবং বসবাস করার অনুমতি। একজন তাসলিমা আরেকজন তাসলিমার জন্ম দেয়, তাই এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অর্থ হলো, আরেকজন তাসলিমার জন্ম দেয়া, এবং নিজের ধর্মকে অপমান করার জন্য আরেকজনকে সুযোগ দেয়া। তাই এই সমস্ত পাগল-ছাগলদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মানে নিজের ধর্মকে অপমান করা।

একটা হতাশাগ্রস্হ পাগলের কথায় গুরুত্ব দেয়া ঠিক না। এই পাগল কেন পাগল হলো, তাও তো আমাদের ভেবে দেখতে হবে। আসুন আমরা সবাই দোয়া করি, আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন তাসলিমা আপুকে একটি সন্তান দান করুক, এবং তিনি তওবা করুক।

তবে দোয়া করার আগে খুব ভালভাবে চিন্তা করতে হবে, কারণ যদিও তাসলিমা ম্যাডাম একজন ডাক্তার ও লেখিকা, কিন্তু এই দুইটার কোনটাই তার পেশা না, তাঁর প্রধান পেশা হলো ইসলামরে খুচা দেয়া, সাথে আদিম ব্যবসা তো আছেই, যে ব্যবসার কদর বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমে। তাই সন্তান হইলে তার এবং সন্তানের পেট চালানোর জন্য খুচাখুচি করন কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

----------------------------------------------------------------------------------------------

স্ববিরোধি চিন্তাঃ তাসলিমা নাসরিন কে হত্যা মামলার আসামী করা যায় না ?

মিনার মাহমুদঃ 
এরশাদ ভাই এর আমলের একমাত্র সাহসী পত্রিকা 'বিচিন্তা' এর সাহসী সম্পাদক, তাসলিমা নাসরিন নামক একজন attention seeker এর তৃতীয় স্বামী, যার বাসা থেকে তাসলিমা আপু ৫০,০০০ টাকা চুরি করে পালিয়ে গিয়েছিল। ভদ্রলোক অনেক বছর আমেরিকা তে Taxi চালানোর পর এক সময় যখন দেশে ফেরেন তখন তার পকেটে কোন টাকা ছিল না। ২৯শে মার্চ ২০১২ তারিখে ঢাকার একটি হোটেলে তার লাশ পাওয়া যায়, আত্মহত্যা । ১৯৯২ সালের ৫০,০০০ টাকা ২০১২ সালের কত টাকার সমান ? কয়েক লাখ। এই টাকাগুলি যদি তাসলিমা ফেরৎ দিতো, তাহলে হয়তো মিনার ভাই আরো কিছুদিন বাঁচতো। ভদ্রলোক এর সাথে ব্যাক্তিগতভাবে আমার অনেক কথা হয়েছে।

রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহঃ 
স্বনামধন্য কবি ও গীতিকার, তাসলিমা নাসরিন নামক একজন attention seeker এর প্রথম স্বামী। ২৯শে জুন ১৯৯১ তারিখে মারা যান মাদকাসক্ত এবং হতাশাগ্রস্হ হয়ে। ভদ্রলোক মৃত্যুর সময় আমার খুবই কাছের প্রতিবেশী ছিলেন।

তাসলিমা আপু এদেরকে ব্যবহার করেছে নিজে উপরে উঠার সোপান হিসেবে। এবং যখন এদেরকে অপ্রোয়জনীয় মনে হয়েছে, ছুড়ে ফেলেছে। এদের মৃত্যুর জন্য কি তাসলিমা বিন্দুমাত্র দায়ী বা অনুতপ্ত নয় ? বুড়ির এই বয়সে আবার প্রেম করার সখ জাগছে।

উপরুক্ত দুইটা অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর কারণে তসলিমা আপুকে কেন প্রতারণামুলক ভালবাসা অতপর চুরি, পুরুষ নির্যাতন, মাদকাসক্তি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা, ইচ্ছাকৃত এবং অনিচ্ছাকৃত খুন ইত্যাদির অপরাধে বিচারের আওতায় আনা যাবে না, যদি ৪৪/৪৫ বছর আগের অপরাধের বিচার এখন করা সম্ভব হয় ?

তাসলিমা নাসরিন ছোটকালেও টাকা চোর ছিল, এখনো চোর। আগে ছেলেদের পকেট মারতো, এখন কর দেয়ার ভয়ে ইউরোপ-আমেরিকা না থেকে, থাকে কলিকাত্তায় .....

No comments:

Post a Comment